Public | 25-Apr-2025

এরেঞ্জ ম্যারেজ কি দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে?

এরেঞ্জ ম্যারেজ কি দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে?
এরেঞ্জ ম্যারেজ দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। 
‎
‎এলাকার এই সপ্তাহের একটা ঘটনা বলি। ছেলে প্রবাস ফেরত। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলো। মেয়ে ছেলেরে স্পষ্ট কইরাই জানাইলো...
‎
‎❝আমার রিলেশন আছে। আমারে বিয়ে কইরেন না।❞
‎
‎পোলা খুব মনখোলা ভাব নিয়া কইলো, এসব থাকেই এই যুগে। ব্যাপার না।
‎
‎এই ভাব গলার হাড্ডি হইয়া আটকাইছে শেষমেষ। 
‎
‎বিয়ে হইলো। ছেলে প্রবাসে ফেরত যাওয়ার পাঁচদিন পরেই মেয়ে প্রেমিকের সাথে পালাইছে। 
‎
‎খালি হাতে না। মোহরানার নগদ ছয় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিলো, সে টাকা — সাথে স্বর্ণালংকার নিয়ে। 
‎
‎ছেলে বিদেশ গিয়ে ডিউটির ফাঁকে কলে শুনলো সে কথা — বউ পালাইছে। 
‎
‎ছেলে এবার গলার স্বর নিচু করে বললো...
‎ব্যাপার না।
‎
‎কিন্তু ব্যাপার অনেক কিছুই। 
‎
‎বিয়ে নিয়ে সব মানুষের একটা সুন্দর স্বপ্ন থাকেই।
‎সেটা মইরা গেলো।
‎
‎কুত্তার মতো কামলা দিয়া যে টাকা সে কামাই করলো। তা বিয়ের খরচে গেলো। মোহরানাতে গেলো। স্বর্ণালংকারে গেলো। 
‎
‎কিন্তু দিনশেষে তার হাত খালি! বুক তারও বেশি খালি। তার এই নিঃসঙ্গতা যুদ্ধে একা একা মইরা যাওয়া কোনো আহত সৈনিকের নিঃসঙ্গতার মতোই। 
‎
‎আজকাল বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরই এখন সম্পর্ক থাকে। 
‎
‎প্রেম ভালোবাসা করা হারাম, ধর্ম মেনে আপনি যারে বিয়ে করতে গেলেন দেখা গেলো তারও একটা অতীত আছে। 
‎
‎সে অতীত ভুল হিসেবে পেছনে থাকলে ঠিকাছে। 
‎
‎কিন্তু কেউ কেউ বিয়ে করে বর্তমানের সাথে থাইকা সে অতীতও ছুঁইতে চায়। তারপর ঝামেলা হয়। 
‎
‎ডিভোর্স হয়। 
‎
‎পরিসংখ্যান বলছে , বাংলাদেশে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ডিভোর্সের হার ২৩%। 
‎
‎ছেলেদের বেলায় একটা সময় আসে, পরকীয়া দেইখা বউরে সহ্য করতে পারে না, মোহরানাও দিতে পারে না। ডিভোর্স হয় না।
‎
‎তখন শারীরিক মানসিক দুই অশান্তিই বাড়ে।  
‎
‎মেয়েদের বেলায় এমনটা হইলে তারা বাচ্চাকাচ্চার জন্য জামাইর খেচ্চরগিরি সহ্য কইরা যায় । 
‎
‎বাপ মা খুব নরম কইরা বলে...
‎কপালে আছে। একটু আধটু সহ্য করতে হয়। মেনে নে।
‎
‎আর শেষ পর্যন্ত না পারলে একটা সময় মেয়ে বাপের বাড়ি চইলা যায়। তখন আবার উঠতে বসতে লোকের কথা শুনতে হয়। 
‎
‎এই দুইটাই মানসিক দোযখের আজাব দেয়। 
‎
‎আপনি ছেলে হইলে , বিয়ে করতে গেলে মেয়েরে ফ্র্যাংকলি জিজ্ঞেস করেন...
‎
‎রিলেশন আছে কিনা? একটু সময় দেন, জেনে নেন, আপনারে বিয়ে করতে ইচ্ছুক কি না। 
‎
‎অতীত থাকলেও সে আর ঐ দিকে ঝুঁকবে কিনা। 
এখানে রাকঢাক করবেন না।
‎
‎সুন্দরী হইলেই টাকার জোর দেখাইয়া বিয়ে করে নিয়েন না। আপনি প্রবাসী হইলে আরও না। 

নিজের বয়স ৩৫+১৬ বছর বয়সী মেয়ে বিয়ে করতে যাবেন না। পারলে বিয়েটা ২৪-২৫ বছর বয়সেই করে ফেলুন। বয়সের গ্যাপ কম রাখুন। 
‎
‎মেয়েদের ও যদি মনে হয়। বিয়ের পরেও আপনার মানুষটার সাথে যোগাযোগ রাইখা দিবেন, ‎তাহলে কাউরে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েন না। দরকার নাই। 
‎
আপনার মানুষরেই বিয়া করেন। 

‎একটা ছাদ। ছাদের নিচে দুইটা মানুষ এক খাটে শুইয়া থাকলেই সংসার হয় না। 
‎
‎একটা সংসারে ঘরের মেঝেটা হবে ভরসার। দেয়াল হবে সমঝোতার। ছাদ হবে বিশ্বস্ততার। 
‎
‎এই সমঝোতা, বিশ্বাস না থাকলে শেষে।

একজন আরেকজনরে জড়াইয়া ধইরা শুয়ে থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুনায়েদ ইভানের লিরিক বাজবে 
‎
‎আমার দিকে তাকিয়ে সে আমারে না, অন্য কাউরে দেখতো! আমারে ধরে সে আমারে না। অন্য কাউরে ধরতো!
‎
‎আপনি হয়তো বলবেন...
এত ঝামেলা করতে গেলে আর বিয়ে করাই লাগবে না-রে ভাই।
Follow Us Google News
View (41,663) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform