সিজারে কীসের কষ্ট বিস্তারিত জেনে নিন
সিজারে কীসের কষ্ট
শুধু পেট কাটে এমনটাই শোনা যায়।
কিছু লোকের মুখে!
৭টা পর্দা কেটে
বেবীটাকে দুনিয়াতে আনতে হয়।
আধা ঘন্টার ভিতর ৩টা স্ল্যালাইন শেষ হয়।
মোটা সিরিন্জের মেরুদন্ডে দেওয়া হয়।
এই ইনজেকশনটা সারাজীবন কষ্ট দেয়।
যখন অবসের মেয়াদটা চলে যায়,
তখন একটা গলা কাটা মুরগীর মতো
ছটফট করতে হয়।
আপন জন ছেড়ে,
অপারেসন রুমে থাকতে হয়।
প্রতিটা মিনিট যেন
এক ঘন্টার সমান,
সময় যেন শেষ হয় নাহ।
প্রিয় মানুষদের মুখখানা
দেখার জন্য অস্থির হওয়া।
ঘন্টার পর ঘন্টা,
কাটা জায়গায় কী যে কষ্ট হয়, বলার মতো না।
তার সাথে খিচুনি,
নিথর শরীরে থরথর কাপুনি।
হাতে ক্যানোলায় স্যালাইন চলছেই...
অন্য দিকে গলা শুকিয়ে কাঠ কাঠ হয়ে যায়।
একফোটা জলের জন্য
কতো আকুতি মিনতি করা হয়।
কিন্তু ২৪ ঘন্টার আগে কোন পানি দেওয়া হয় না।
মৃত্যুকে হার মানিয়ে এসে যদি শুনতে হয়,
পেট কেটে বাচ্চা হলে কীসের কষ্ট।
বাচ্চা যেভাবেই হোক না কেনো,
যার বাচ্চা সেই জানে,
কতটা কস্ট তাকে সহ্য করতে হইছে
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
আমি ছাড়াও অনেকেরই বাচ্চা হয়।
কিন্তু যার হয় সেই বোঝে তার কষ্ট।
একটু আঙ্গুল বা শরীরের কোথাও একটু
কেটে গেলে আমরা অস্থির হয়ে যাই।
আর সম্পূর্ণ একটা পেট কেটে বাচ্চা হওয়াটা অনেক সহজ মনে হয়।
আমাদের সমাজের অনেকে আছে।
যাদের কাছে অনেক সহজ মনে হয়।
তারা কখনোই আমাদের কষ্ট বুঝবেন না।
অনেকেই বোঝেনা এই ব্যাপার গুলো তাদের জন্য লেখাটি।
Follow Us Google News