Public | 16-Jan-2025

সমাজের কিছুকিছু উচ্চ ডিগ্রীধারী মেয়েদের জীবনের পরিণতি!

সমাজের কিছুকিছু উচ্চ ডিগ্রীধারী মেয়েদের জীবনের পরিণতি!
সমাজের কিছুকিছু উচ্চ ডিগ্রীধারী মেয়েদের জীবনের পরিণতি সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হল।

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও দিধা করে না। কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন সম্পর্ক থাকে।

বয়স বাড়লে কিংবা শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা কিংবা আগ্রহ কমে যায়। তখন শুধু পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়ার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে। সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ বা বিয়ে করার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার চেষ্টাও বোধ করে না।

এরপর  প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছেলেদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের। সে পরীক্ষায় অনেকে আবার সাফল্যও পেয়ে যায়। তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম।

কিন্তু ততোদিনে অনেক সময় গড়িয়ে যায়। মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা। খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায়। বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে পড়ে তাদের জন্য। প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে phd শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় BCS ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় তাঁরা। তখন ৩০+ যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

২১-২৫ বছর বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি ৩০ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও মরচে পড়ে। বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে শুরু। এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায় পড়ে। এতোদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে ভয়ে কাঁপতে থাকে অনিশ্চয়তার কথা ভেবে। স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সুখী পরিবারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে যায়।

কিছু পাত্রীদের অবস্থা কেমন হয় তখন ???
========================
০১। বিসিএস ক্যাডার একজন নারী, যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোঁজা বন্ধ করে এখন ১ম শ্রেনীর নন ক্যাডার পাত্রও খুঁজে বেড়ায়। কতোটা কম্প্রোমাইজ ভাবা যায়???

০২। একজন ডাক্তার পাত্রী ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুঁজতে খুঁজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় প্রায়। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলো তখন কিছু সিনিয়র অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুঁজতে খুঁজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে পৌছেছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। এখন ১ম শ্রেনীর সরকারি অফিসার হলে চলবে ভাতছেন। আর বেশি দেরি হলে ২য় শ্রেনীতেও নামতে হতে পারে।

০৩। এই আপা একজন উচ্চশিক্ষিত, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণও হয়েছে কিন্তু ততোদিনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এতো এতো ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯।

আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। 

কিন্তু যতো বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের  হয় ২০/২১ থেকে ২৬ বছর বয়সী মেয়েগুলো।

অফিসে এক সিনিয়র কলিগ বললো-- "একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না"।

একজন বলেছিল-- বিয়ে প্রেম আবেগের বশেই হয়ে যাওয়া উচিত। বিবেক এসে গেলে সেটা আর সঠিক বয়সে হয় না।

সুতরাং সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে তার ফলাফল শূন্য তে নেমে আসে।
Follow Us Google News
View (97,644) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform