Public | 06-Apr-2025

ইন্দোনেশিয়ার গুনুং পাদাং-এর সবুজ প্রকৃতির মাঝে এক রহস্যময় বিস্ময়!

মিশরের মহামহিম পিরামিডগুলো বিশ্ববাসীর কল্পনাকে মুগ্ধ করার অনেক আগেই, ইন্দোনেশিয়ার গুনুং পাদাং-এর সবুজ প্রকৃতির মাঝে এক রহস্যময় বিস্ময় লুকিয়ে ছিল। প্রকৃতির আচ্ছাদনে ঢেকে থাকা এই গঠনটি এক চমকপ্রদ পিরামিডসদৃশ আকৃতির। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের গবেষণা অনুযায়ী, গুনুং পাদাং শুধুমাত্র ভৌগোলিক কৌতূহলের বিষয় নয়; এটি প্রাচীন নির্মাণশৈলীর এক জটিল ইতিহাস বহন করে, যার ভিত্তি পৃথিবীর অতল রহস্যের গভীরে প্রোথিত। অধ্যাপক ড্যানি হিলম্যান নাটাওয়িদজাজার নেতৃত্বে এক সাহসী গবেষক দল ভূগর্ভস্থ রাডার, সিসমিক টোমোগ্রাফি এবং শ্রমসাধ্য খননের মাধ্যমে এর প্রাচীন স্তরগুলোর রহস্য উন্মোচন করেছে। দৃশ্যমান উপরের স্তরে রয়েছে বিশালাকার পাথরের স্তম্ভ, জটিল নকশার দেয়াল, আঁকাবাঁকা পথ এবং বিস্তৃত উন্মুক্ত স্থান। এই স্তরের নিচে মাত্র ৩ থেকে ১০ ফুট গভীরে দ্বিতীয় স্তরটি লুকিয়ে আছে, যা স্তম্ভাকার ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত। এরও নিচে, তৃতীয় স্তরটি ৫০ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে সবচেয়ে গভীর স্তরটি, প্রায় ২৮ ফুট নিচে, মানবসৃষ্ট ব্যাসল্ট পাথর ধারণ করে। রেডিওকার্বন ডেটিং এই স্থাপনার এক অভূতপূর্ব সময়রেখা উন্মোচন করেছে—উপরিভাগের নিদর্শনগুলো ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ বছর পুরনো, যা প্রায় ১,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সমসাময়িক। দ্বিতীয় স্তরটি আরও গভীরে পৌঁছালে দেখা যায়, এটি ৭,৫০০ থেকে ৮,৩০০ বছর আগের, যা ৬,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সময়কাল নির্দেশ করে। আরও নিচে, তৃতীয় স্তরটি প্রায় ৯,০০০ বছর আগের, অর্থাৎ ৭,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। তবে সবচেয়ে গভীর স্তরটি গবেষকদের মুগ্ধ করেছে, কারণ এটি প্রায় ২৮,০০০ বছর আগের হতে পারে! এই চমকপ্রদ আবিষ্কার আমাদের ইতিহাসের প্রচলিত ধারনাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় এবং আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের অজানা উত্তরাধিকার সম্পর্কে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়।
Follow Us Google News
View (49,368) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform