Public | 21-Apr-2025

টাইটানিক জাহাজ পানির নিচে অনুসন্ধান প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায়"

টাইটানিক জাহাজ পানির নিচে অনুসন্ধান প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায়
১৯১২ সালের এপ্রিল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজ আরএমএস টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় ইংল্যান্ড থেকে নিউইয়র্কের পথে রওনা হয়। সবাই বিশ্বাস করত, এই জাহাজ কখনোই ডুববে না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একটি হিমশৈলের সঙ্গে সংঘর্ষে আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায় স্বপ্নের সেই জাহাজ। ১৫০০-র বেশি মানুষের জীবন সেদিন থেমে যায়।

এই মর্মান্তিক ঘটনার বহু বছর পর, একদল গবেষক সেই হারিয়ে যাওয়া জাহাজ খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। অবশেষে, বহু বছরের গবেষণা, প্রস্তুতি ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ওঠে।

এই ঐতিহাসিক অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন ওশানোগ্রাফার ড. রবার্ট ব্যালার্ড ও ফরাসি ডাইভিং ইঞ্জিনিয়ার জ্যঁ-লুই মিশেল। তারা ব্যবহার করেছিলেন দুইটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। একটি ছিল SAR, যা সাগরের তলদেশ স্ক্যান করত সোনারের মাধ্যমে; আরেকটি ছিল Argo, যা ক্যামেরা দিয়ে সমুদ্রের গভীর থেকে সরাসরি ভিডিও পাঠাতো গবেষকদের কাছে।

হঠাৎ করেই গভীর সমুদ্রের অন্ধকারে ধরা পড়ে এক বিখ্যাত ছবি; টাইটানিকের বিশাল ধনুকাকৃতির অংশ! ১২,৫০০ ফুট গভীরে, কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৩৭০ মাইল দূরে, মিলল ইতিহাসের গোপন এক অধ্যায়।

জাহাজটি দুটি বড় অংশে ভেঙে গিয়েছিল। ধনুক (bow) ছিল অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থায়, আর পেছনের অংশ (stern) ছিল ভীষণভাবে ক্ষতবিক্ষত ও ছড়ানো। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল যাত্রীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র; জুতা, জামা, বাসনপত্র, এমনকি গ্র্যান্ড স্টেয়ারকেসে থাকা ব্রোঞ্জের এক মূর্তি।

এই আবিষ্কার শুধু ইতিহাস নয়, ছিল প্রযুক্তির বিজয়ও। পানির নিচে হাজার হাজার ফুট গভীরে গিয়ে এভাবে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া আগে কখনো সম্ভব হয়নি। এই অভিযানের মাধ্যমেই জন্ম নেয় আধুনিক পানির নিচে অনুসন্ধান প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায়।
Follow Us Google News
View (40,859) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform