Public | 31-Aug-2024

বই কোথায় পড়বেন?

বই কোথায় পড়বেন?
বিভিন্ন সময়ের জরিপ ও মন্ত্যবের হিসেবে, যারা বই পড়তে ভালোবাসেন বা পড়ার ইচ্ছা রাখেন, তাদের মতে সবথেকে বড় বাধা হচ্ছে - সময়। ব্যস্ততা ও সময়ের অভাবে বই পড়তে পারেন না কিংবা অন্যতম সেরা এই অভ্যাসটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের জীবন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।
বাড়ছে ব্যস্ততা, হচ্ছে যান্ত্রিক। এর মধ্যে বই পড়ার জন্য আলাদা সময় বের করা সত্যিই কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের ইচ্ছাশক্তি থাকলে এবং একটু সচেতনভাবে চেষ্টা করলে, বই পড়ার জন্য আমরা কিছু সময় বের করতে পারি। আজকে আমরা চেষ্টা করবো এরকম কিছু দিক নির্দেশনার কথা আলোচনা করতেঃ

১। বিছানার পাশে বই রাখুনঃ
দিনের শেষে ঘুমাবার সময়ে চেষ্টা করুন কয়েকটি পাতা হলেও বই পড়ার। আর ইচ্ছা হওয়ার সাথে সাথে আপনি যেন সেটা কাজে লাগাতে পারেন, এর জন্য বিছানার পাশে হাতের নাগালে বই রাখুন। এতে আপনার পড়ার ইচ্ছাটাও যেমন বাড়বে, পাশাপাশি আপনার সারাদিনের ক্লান্ত মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে সুনিদ্রা হবে।

২। কর্মস্থলে বই রাখুনঃ
আপনি যেখানেই কাজ করুন না কেন চেষ্টা করুন আপনার হাতের নাগালে বই রাখার জন্য। আপনার অফিসের ডেস্কে বই থাকলে আপনি যখনই ক্লান্ত বোধ করবেন বা ব্রেক নিবেন, তখন আপনি বইয়ের মধ্যে ডুবে যেতে পারবেন। বই কাছে না থাকলে হয়তো ওই সময়টা অন্যভাবে কাঁটিয়ে ফেলবেন।

৩। বই নিয়ে চলাচল করুনঃ
চেষ্টা করুন আপনার সাথে বই বহন করার জন্য। আপনি যেখানেই যাচ্ছেন, আপনার সাথে ব্যাগ থাকলে অব্যশই তার ভেতরে একটি বই রাখুন। বর্তমান সময়ে জ্যাম বা নানা কারণে আমাদের দীর্ঘ সময় রাস্তায় থাকতে হয়, তখন যাতে সময়টা অপচয় না করে আমরা বই পড়তে পারি, তার জন্য সবার আগে বই সাথে রাখাটা জরুরী।

৪। অপেক্ষমান জায়গায় বই পড়ুনঃ
প্রায় সময়ই আমাদের এমন কিছু জায়গায় যেতে হয়, যেখানে অনুমানের থেকেও বেশি সময় সঙ্গত কারণে লেগে যায়। যেমন, ডাক্তারের চেম্বার, ব্যাংক, সরকারী-বেসরকারী অফিস, বাস-ট্রেন স্টেশন এবং আরও অনেক জায়গায়। (©বইবাজার ডট কম) কখনো কখনো আমাদের একই জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। সাথে বই থাকলে এই সময় আমরা আনন্দে এবং ভালভাবে কাঁটাতে পারি।

৫। অল্প অল্প পড়ুনঃ
একবারে বেশি পড়ার জন্য সময় বের করতে না পারলে, অল্প অল্প পড়ার চেষ্টা করুন। এতে পড়ার অভ্যাস একদম হারিয়ে যাবে না। খাবার টেবিল, টিভি দেখা কিংবা কাজের ফাকে ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে অল্প অল্প করে পড়া।

৬। ঘুরতে নিয়ে যান বইঃ
কোথাও ঘুরতে যাবার সময় চেষ্টা করুন বই সাথে রাখার জন্য। ভ্রমনের সময় ব্যতীত নিশ্চিতভাবে আপনি আরও কিছু সময় পাবেন বই পড়ার। একটু লম্বা ছুটি পেলে চেষ্টা করুন একটি টার্গেট নিয়ে কয়েকটি বই পড়ে ফেলতে।

৭। পরিবেশ তৈরি করুনঃ
বই পড়া শুধু একটি অভ্যাস নয়, পরিবেশেরও ব্যাপার। চেষ্টা করুন পরিবারে কিংবা আপনার আশেপাশের মানুষদের মধ্যে বই পড়ার মানসিকতা জাগিয়ে তুলতে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হবেন আর পড়ার প্রতি আগ্রহ আসবে।

৮। পাঠাগারে যাতায়াতঃ
বই পড়ার জন্য অনেক পাবলিক লাইব্রেরী রয়েছে, সেখানে যাতায়াত এর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও চেষ্টা করুন বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য, যাতে পড়ার প্রতি আপনার আগ্রহ বজায় থাকে।

৯। মুক্ত পরিবেশে পড়াঃ
বই পড়ার জন্য মুক্ত পরিবেশ পেলে তো কথাই নেই। বাসার ছাদ, খেলার মাঠ কিংবা পার্কে পড়ার মত সুযোগ থাকলে চেষ্টা করুন সেখানে পড়তে। এতে আপনার ভালোলাগা বাড়বে। বর্তমানে অনেক কমিউনিটি/গ্রুপ পার্কে বই পড়ার আয়োজন করছে, সময়-সুযোগ থাকলে যোগ দিতে পারেন।

১০। আলাদা জায়গাঃ
বই পড়ার জন্য সম্ভব হলে আলাদা জায়গা বা কামরা তৈরি করুন। যেখানে আপনার বইয়ের সংগ্রহশালা তৈরি করুন। নিজেও পড়ুন এবং অন্যদের পড়ার সুযোগ দিন।

সেরা অভ্যাসগুলোর মধ্যে বইপড়া অন্যতম। বই পড়ার অনেক অনেক উপকার রয়েছে যা আমাদের মানসিক প্রশান্তি থেকে শুরু করে জ্ঞানার্জন পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনার পড়ার অভ্যাস থাকলে তা কোনোভাবেই হারাতে দিবেন না। আর হারিয়ে গেলে চেষ্টা করুন ফিরিয়ে আনার জন্য।

ফিরিয়ে আনার পথকে সহজ করতে এই পরামর্শ গুলো কাজে লাগাতে পারেন। আপনার কাছে কোনো পরামর্শ থাকলে অব্যশই জানাবেন।
Follow Us Google News
View (103,142) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform