Public | 03-Jan-2025

জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করে সফলতার জয় করার উপায়!

জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করে সফলতার জয় করার উপায়!
জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করে সফলতার জয় করার উপায় নিচে তুলে ধরা হল।

ভূমিকাঃ- ছোট্ট গ্রামের ছেলে রাজু। বাড়িতে মা-বাবা আর ছোট দুই ভাই-বোন। বাবা একজন দিনমজুর, যিনি প্রতিদিন মাঠে কাজ করে দিন কাটান। রাজুর স্বপ্ন বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। কিন্তু এমন পরিবারে জন্ম যেখানে দুবেলা খাবার জোটে না, সেখানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা অনেকটাই অকল্পনীয়। তবুও রাজু নিজের স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে।  

➜ শিক্ষা জন্য লড়াইঃ- প্রাথমিক পড়াশোনার জন্য রাজু গ্রামের একমাত্র স্কুলে ভর্তি হয়। বাবার সামান্য আয় দিয়ে বইপত্র কেনার সামর্থ্য ছিল না। রাজু পুরনো বই ধার নিয়ে পড়তে শুরু করে। রাতে পড়াশোনা করার জন্য কেরোসিনের বাতি জ্বালিয়ে রাত জেগে পড়ত।  

একদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজুর মেধা দেখে অবাক হন। শিক্ষক তাকে জানালেন, যদি সে ক্লাস টেনের পরীক্ষায় ভালো ফল করে। তাহলে স্কলারশিপ পাবে। রাজু পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু সমস্যা তখন আসে, যখন তার বাবার অসুস্থতার কারণে বাড়ির আয় বন্ধ হয়ে যায়। রাজু নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে কাজ শুরু করে।  

➜ শহরে পাড়িঃ- রাজু ক্লাস টেনে প্রথম বিভাগে পাশ করে এবং সরকারি স্কলারশিপ পায়। স্কলারশিপের টাকায় সে কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু গ্রামে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল না। তাই রাজু শহরে পাড়ি জমায়। শহরে এসে তার দিন শুরু হয় ভোরবেলা একটি চায়ের দোকানে কাজ দিয়ে। সেখান থেকে রোজগারের টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালায় এবং রাত জেগে পড়াশোনা করে।  

তাকে অনেকবার অসম্মানিত হতে হয়েছে। অনেকে বলেছে... একজন দিনমজুরের ছেলে কখনো ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না। তবুও রাজু নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছিল।  

➜ পরীক্ষার চাপ এবং সাফল্যের দিকে যাত্রাঃ- রাজু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসে। প্রস্তুতি নিতে সে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা পড়ত। তার কাছে ভালো কোচিংয়ে পড়ার সুযোগ ছিল না। তাই লাইব্রেরির পুরনো বইগুলোই ছিল তার একমাত্র ভরসা।  

প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে রাজু ব্যর্থ হয়। সে নিজেকে দোষারোপ না করে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় সে রাজ্যের শীর্ষস্থান অর্জন করে এবং একটি নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।  

➜ সাফল্যের গল্পঃ- কলেজে পড়ার সময়ও রাজু টিউশন পড়িয়ে নিজের খরচ চালাত। নিজের অধ্যাবসায়ের জন্য সে একাধিক স্কলারশিপ অর্জন করে। অবশেষে, পড়াশোনা শেষ করার পরে। সে একটি বড় প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ পায়। তার প্রথম বেতনেই সে বাবার চিকিৎসার খরচ দেয় এবং পরিবারের ঋণ শোধ করে।  

আজ রাজু শুধুমাত্র তার গ্রামের নয়, পুরো এলাকার জন্য একটি উদাহরণ। সে তার গ্রামের দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে।  

➜ উপসংহারঃ- রাজুর জীবন আমাদের শেখায় যে কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, এবং অধ্যবসায় থাকলে কোনো বাধাই জীবনের পথে দাঁড়াতে পারে না। 
Follow Us Google News
View (99,401) | Like (0) | Comments (0)
Like Comment
Comment Box
Sponsor

For Ads

www.fewlook.com

Call Now

+01828-684595

Monthly 3,000/= TK Only For Banner Ads

Fewlook is a world wide social media platform