রিযিক কি চমৎকার একটা জিনিস
মসজিদে ইফতারের সময় খেজুর মুখে দিতে গিয়ে একটা উপলব্ধি হলো...
এই যে, খেজুর টা আমি মুখে দিলাম। এই খেজুর টা আমি কিনি নি। আমার নিজের বাড়িতেও চাষ করা হয়নি। এমনকি এই দেশের মাটিতেও এটার চাষ হয়নি। এই খেজুর টা সূদুর কোনো দেশ থেকে আমার দেশে এসেছে।
এই খেজুর টা যখন গাছে মুকুল অবস্থায় ছিলো। কোনো পোকা এটাকে নষ্ট করেনি। পাকার পর পাখি হয়তো একই গাছের অন্য একটা খেঁজুর খেয়েছে। অন্য একটা খেজুর ঝরে পরে নষ্ট হয়েছে কিন্তু এই খেজুর টা হয়নি।
খেজুর টা পাকার পর গাছ থেকে পারা হয়েছে, শুকানো হয়েছে, প্যাকেট জাত করা হয়েছে, এরপর হাজার মাইল পারি দিয়ে স্থানীয় বাজারে এসেছে।
এই সময়টাতে এই কাজের সাথে জড়িত থাকা কোনো ব্যক্তি খেজুর টা খেয়ে ফেলেনি।
বাজারে আসার পর অনেকেই হয়তো কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছে, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখেছে অথচ কিনেনি।
একটা সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে খেজুর টা আমার প্লেটে এসে উঠেছে।
এর মাঝখানে আমার রিযিকে থাকা খেজুর টা অন্য কেউ কেড়ে নেয়নি।
রিযিক কি চমৎকার একটা জিনিস!
এই খেজুর টা আমার জন্যই আল্লাহ্ বরাদ্দ রেখেছিলেন। আমার জন্যই কোনো এক সূদুর দেশের মাটিতে দিনের পর দিন যত্নে বড় হয়েছে।
সেখান থেকে আমার মুখে তোলার আগ পর্যন্ত কত সুযোগ ছিলো অন্য কারো আমার রিযিক কেড়ে নেয়ার, অথচ কেউ নেয়নি।
ঘুরে ফিরে আমার কাছেই এসেছে।
পুরোটা সময় আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহু তা'য়ালা আমার জন্য এটাকে নির্ধারিত করে রেখেছিলেন।
যেটা আপনার জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করে রেখেছেন। সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক। সাত সমুদ্র তেরো নদী পারি দিয়ে হলেও সেটা আপনার কাছে এসে পৌছাবে। এটাই রিযিক। কারো সাধ্য নেই আপনার রিযিক ভোগ করার।
ঠিক এই বিশ্বাসটা মনে মগজে গেঁথে নিতে পারলে দুনিয়াবি অর্ধেক হতাশার সমাধান হয়ে যায়।
Follow Us Google News